ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

রাবি সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ্ হল শাখা ছাত্রলীগকর্মীরা মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে এ মারধর করেছে বলে জানা গেছে।

মারধরের শিকার রাবি কেন্দ্রীয় সাংকৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক শিমুল ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী রাজ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রাজ্জাক, ভাষা বিভাগের ইমরান, নাইম ও রুবেল। তারা সবাই নবগঠিত মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার অনুসারী।

হল সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগ একটি র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালিতে অংশগ্রহণ বাড়াতে ছাত্রলীগের কর্মীরা হলের প্রতিটি রুমে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডাকাডাকি করেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে র‌্যালিতে অংশ নিতে বাধ্য করেন।

ভুক্তভোগী শিমুল বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আমার রুমে এসে (কক্ষ: ৩২২) তাদের র‌্যালিতে যেতে বলে। বৃহস্পতিবার আমার চূড়ান্ত পরীক্ষা থাকায় আমি পড়াশোনা করছিলাম। আমি বিষয়টি তাদের বলি। তবুও তারা জোর করলে বলে দিই র‌্যালিতে যেতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, এসময় ছাত্রলীগ কর্মীরা চলে গেলেও পরে রাত পৌনে ১টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী রাজ্জাক, মেহেদী, ইমরান, নাঈমসহ কয়েকজন এসে আমাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে রাজ্জাক নামের ছেলেটি আমাকে বেশ কয়েকটি চড় মারে। এসময় তারা আমাকে হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয় এবং পরবর্তীতে র‌্যালিতে না গেলে আমার খবর আছে বলে উল্লেখ করে।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী রাজ প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, হালকা কথা-কাটাকাটি হয়েছে। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা জাগো নিউজকে জানান, ‘বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পণে যোগ দিতে হলের কক্ষগুলোতে কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী ছাত্রদের ডাকতে যায়। কিন্তু ওই ছাত্র এদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। তবে মারধর করা হয়নি। তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

এ প্রসঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. তাজুল ইসলা জাগো নিউজকে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে তারা লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাশেদ রিন্টু/বিএ