ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

‘জবির নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পে অনিয়ম তদন্তে দুদকে পাঠানো হবে’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্প’-এর অর্থের হিসাবে গোজামিল তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

উপাচার্য বলেন, ‘নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পের অর্থের গোজামিল ও ভূমি অধিগ্রহণের কাজে কোনো অনিয়ম আছে কি-না, তা তদন্তে দুদকের কাছে পাঠানো হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক।’

রোববার (২৯ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য এসব কথা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে একনেক সভায় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ৮৯৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

২০২১ সালের ১১ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বার্ষিক সভার তথ্য অনুযায়ী, নতুন ক্যাম্পাসের জন্য ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এক হাজার ৪৪১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে এরমধ্যে ৫৪১ কোটি টাকা কোন কোন খাতে ব্যয় হয়েছে, তা জানাতে পারেননি প্রকল্প কর্মকর্তারা।

সভায় পরামর্শক নিয়োগ ও মাস্টারপ্লান প্রণয়নে ক্রয় প্রক্রিয়া পিপিআর অনুযায়ী না হওয়ায় তা অনুমোদন দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাস্টারপ্লানের দরপত্রে সৃজনী উপদেষ্টা লিমিটেড কারিগরি মূল্যায়নে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করে এবং তাদের সেবার মূল্য চাওয়া হয় চার কোটি আট লাখ ৫১ হাজার টাকা। কিন্তু তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের পরামর্শে নির্মাণপ্রতিষ্ঠান আরবানাকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়, যার সেবামূল্য ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

অনিয়মের এ চিত্র মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হলে মাস্টারপ্লানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশকৃত কোম্পানি আরবানাকে অনুমোদন না দিয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে নতুন করে একটি কম্পোনেন্ট করে ইআইও আহ্বান করেন। কিন্তু প্রকল্প কর্মকর্তারা সিঙ্গেল চয়েজের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাতিলকৃত নির্মাণপ্রতিষ্ঠান আরবানাকে মাস্টারপ্লানের কাজ দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন।

২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান মাস্টারপ্লানের একটি চিত্র প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন জায়গায় উপস্থাপন করেন। নিমাণপ্রতিষ্ঠান নিয়োগের আগেই আরবানের মাধ্যমে মাস্টারপ্লানের এ কাজ করে নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

রায়হান আহমেদ/এএএইচ/জেআইএম