ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

যবিপ্রবিতে সংঘর্ষের পর উদ্বেগ আতঙ্ক : তদন্ত কমিটি গঠন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে এখন উদ্বেগ আতঙ্ক বিরাজ করছে। নৈশপ্রহরী বাদলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে শুক্রবার দিনভর বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। আর ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছাত্রী উত্যক্তের জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।

যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী বাদলের ভাই শরীফ এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা বাদলকে ডেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে বাদল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাকে মারপিট করলে বাদল ফোন করে গ্রামবাসীকে ডেকে আনেন। এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

দিনভর কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা নৈশপ্রহরী বাদলের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন উদ্বেগ আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা ক্যাম্পাসের বাইরে বের হতে পারছে না। গোটা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

যশোর কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি সিকদার আককাস আলী জানান, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনা তদন্তে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। শুক্রবার বিকেলে এক জরুরি সভা করে এ কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের সহকারী পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুল জানান, উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রক্টর ড. মশিউর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমন করারও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন উপাচার্য।

মিলন রহমান/এমএএস/এমএস