টিকার নিবন্ধন নিয়ে বিড়ম্বনায় জবি শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিবন্ধন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। ফলে টিকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ডাটা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে না হয়ে নাগরিক শ্রেণি ক্যাটাগরিতে ‘সুরক্ষা’ সফটওয়্যারে আপলোড হওয়ায় ওই কোটায় নিবন্ধন করতে হচ্ছে। ফলে বিড়ম্বনায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—সুরক্ষা অ্যাপসে ‘জবির আবাসিক শিক্ষার্থী’ ও ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’ এই দুই ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন নিচ্ছে না। বয়স ৩৫-এর নিচে হলেও সুরক্ষা অ্যাপে নাগরিক শ্রেণি (তদুর্ধ্ব-৩৫) ক্যাটাগরিতেই শুধু নিবন্ধন করতে পারছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনাও দেয়নি প্রশাসন। ফলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা পেলেও জবি শিক্ষার্থীরা টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায়।

জানতে চাইলে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা দ্রুত টিকা পাব। মন্ত্রণালয়ে নাম পাঠিয়ে দিয়েছি। নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে টিকার জন্য যোগাযোগ করছি।’

তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদন পাঠালে সুরক্ষা অ্যাপে সেটা ডাউনলোড দেয়া হয়। তারপর সুরক্ষা অ্যাপে পুনরায় ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী’ ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে আবেদন করতে হবে।

ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান জানান, ‘অনাবাসিক হওয়ায় জবির শিক্ষার্থীরা টিকা পেতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তবে নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন নেই।’

এমআইএস পরিচালক ড. মিজানুর রহমান জনান, ‘জবি শিক্ষার্থীদের ডাটা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে না হয়ে নাগরিক শ্রেণি (তদুর্ধ্ব-৩৫) ক্যাটাগরিতে আপলোড হয়েছে। এ রকম কেন হয়েছে জানি না। আইসিটি বিভাগ ভালো বলতে পারবে।’

জবির ছাত্রকল্যাণ পরিচালক জানান, শিক্ষার্থীদের তথ্য ভিন্ন ক্যাটাগরিতে আপলোড হয়ে গেছে। এ সমস্যা কীভাবে হয়েছে, তা তিনি বলতে পারছেন না। তারা কথা বলেছেন। অফিসিয়ালি ক্লিয়ারেন্স পেলে বিজ্ঞপ্তি দেবেন। শিক্ষার্থীরা নাগরিক শ্রেণিতে আবেদন করলেও টিকা পাবে।

রায়হান আহমেদ/এএএইচ/এমএস