ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ডুয়েট বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫

গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) কুদরত-ই-খুদা হলে ছাত্র উঠানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাসির ও সাধারণ সম্পাদক রাতুলের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ডুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ছাত্রদের ও মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে সকল ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র চঞ্চল কুমার ও ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের ছাত্র মাসুদ রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডুয়েটের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মফিজুর রহমান ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছাত্রদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ক্যাস্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

Duet
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কুদরত-ই-খুদা হল থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রোনিক্স (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী রুহুল আমিনকে দুপুরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বাশারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিনের সমর্থকরা মারধর করে হল থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান রাতুল সমর্থকরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ওই হলে যায়।

এ সময় প্রতিপক্ষ সভাপতির সমর্থকদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের কর্মী ও সমর্থকরা লোহার রড, লাঠি ও রামদা নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায় এবং আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর ও তছনছ করেছে। এতে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের ডুয়েট শাখার সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন জানান, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাতুল ও তার লোকজন দুই দিন আগে ছাত্রশিবিরের এক কর্মীকে কুদরত-ই-খুদা হলে উঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে আমার কয়েক সহপাঠী বিকেলে ওই হলে গিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাতুলের কর্মীরা তাদের উপর চড়াও হয় এবং হামলা চালায় এতে চার/পাঁচজন কর্মী আহত হন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাতুল জানান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুহুল আমিন ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ভুয়া অজুহাত তুলে আমার কর্মীদের উপর রড-লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় চারজন ছাত্র আহত হয়েছেন। তাদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চঞ্চল ও মাসুদ রানার মাথায় ইনজুরি রয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ জলকামান ও রায়ট কারসহ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত সাড়ে আটটায়) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আমিনুল ইসলাম/এআরএ/আরআইপি

আরও পড়ুন