ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

বাড়ি যেতে জবির বাস চান শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জগন্নাথ-বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ০৬ মে ২০২১

চলমান বিধিনিষেধে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় পুরান ঢাকায় আটকা পড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা ঈদুল ফিতরে ক্যাম্পাসের নিজস্ব বাসে করে বাড়ি ফিরতে চান। ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বাস চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে শিক্ষার্থীদের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এবং প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল।

জানা গেছে, গত বছরের শেষের দিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার গুঞ্জন শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরেই সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হবে এমন খবরে অনেক শিক্ষার্থীই গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ও খোলেনি, পরীক্ষাও হয়নি।

ঢাকায় আসা অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিউশনি ও বিভিন্ন পার্ট টাইম চাকরি করে নিজেদের খরচ চালাচ্ছিলেন। তবে বর্তমানে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘোষিত বিধিনিষেধে অসহায় হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়ি যাওয়ার সুযোগও পাচ্ছে না তারা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ৮টি বিভাগীয় শহর পৌঁছে দেয়ার দাবি জানিয়ে গত ৪ মে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নিলেও সরকারের অনুমতি না পাওয়া, বহিরাগতদের ঠেকানোর অনিশ্চয়তায় প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় আবেদন নাকচ করে দেয়।

ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। মহামারির মধ্যেও ঢাকায় থেকে অনেক শিক্ষার্থী চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছেন। অনেকে টিউশনি করে পরিবারকে সাহায্য করছেন। ঈদে ছুটি থাকলেও তারা আজ মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যেতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের বাসের ব্যবস্থা করতেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হত।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্তরিক ছিলাম। তবে লকডাউন ও করোনার পরিস্থিতি খারাপ থাকায় সরকারের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোনো ক্লিয়ারেন্স পাইনি। সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না।’

জবির পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘উপাচার্যের পরামর্শে আমরা কিছুটা প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। তবে পরবর্তীতে সার্বিক দিক বিবেচনায় বিষয়টি আবার নাকচ করা হয়েছে।’

রায়হান আহমেদ/এএএইচ/জিকেএস