ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

হলে না থেকেও সিট ভাড়া দিতে হচ্ছে রাবি শিক্ষার্থীদের, মওকুফের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আবাসিক হলে না থেকেও সিট ভাড়া গুনতে হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। তাই সিট ভাড়া মওকুফের দাবি জানিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও ক্যাম্পাস ফেব্রুয়ারিতেই খুলে দেয়ার দাবিও করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আরও কিছু দাবি ছিল। যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের সব ফি ৫০ শতাংশ মওকুফ করতে হবে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা নিতে হবে, সিলেবাস কমিয়ে দ্রুত ক্লাস শেষ করতে হবে।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মহিউদ্দিন মানিক বলেন, দেশের সবকিছু ডানে-বামে স্বাভাবিক শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্বাভাবিক। মনে হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একমাত্র করোনার উৎস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও আমাদের অন্যের আদেশের অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে। এটাই কি আমাদের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান?

এছাড়া মানববন্ধনে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার পরেও আমাদের ক্যাম্পাস ও হল খোলার জন্য ক্রমাগত আন্দোলন করতে হচ্ছে যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ক্রমাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন বলতে কি বোঝায়? এটি হচ্ছে আমাদের শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করার চক্রান্ত।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাব্বত হোসাইন মিলন, আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

এ সময় মানববন্ধনে বিভিন্ন বর্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সালমান শাকিল/এমআরআর/জিকেএস