লেখক-প্রকাশক খুনসহ সকল হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি
লেখক-প্রকাশক হত্যাকারীদের চক্রগুলোকে বিচারের আওতায় আনা, সরকারি বাহিনী কর্তৃক অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটি। একই সঙ্গে সংগঠনটি এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের বিচার করার মাধ্যমে দেশে সার্বিক নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন শহীদ রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি করেন বক্তারা। কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাসিবুর রহমান, হাসান ফকরী, ডা. ফয়জুল হাকিম, মিঠুন চাকমা, হেমন্ত কুমার দাশ ও নূর সুমন।
অধ্যাপক আকমল হোসেন বলেন, একের পর এক লেখকদের কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত সরকারের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কোন একটি হত্যাকাণ্ডেরও কিনারা করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঠেকানোর জন্য কোনো তৎপরতাও তাদের নেই। বরং এসব হত্যাকাণ্ড থেকে কিভাবে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যায় সে নিয়েই সরকার ব্যস্ত। এখন তালিকা প্রকাশ করে, ঘোষণা দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের অসহায় স্বজনরাসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষ চলমান হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার প্রতিবাদে আজ আওয়াজ তুলেছেন ‘আমি কোনো বিচার চাই না।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার দেশে এক বিচারহীন ও জবাবদিহিতা শূন্য পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকার খুনি ও সন্ত্রাসী, লুটপাটকারী ও জবরদখলকারী, দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজ, ধর্ষক ও নিপীড়কের বুকে টেনে নিয়ে তাদের রক্ষা করছে, তাদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। এমনকি মায়ের পেটের শিশুও আজ হামলায় মৃত্যুবরণ করছে। হত্যাকাণ্ডের হোলি খেলায় রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
এমএইচ/জেডএইচ/আরআইপি