ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৬:৩৪ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সোমবার থেকে শুরু হওয়া ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সকল অনিয়ম ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকাল ৯টা থেকে ১০টা অ ইউনিটের বিজোড় রোল নম্বর এবং সকাল ১১টা থেকে ১২টা ‘এ’ ইউনিটের জোড় রোল নম্বরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

নিরাপত্তা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশসহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চারদিনব্যাপী এ ভর্তি পরীক্ষা চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, ছিনতাই, ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরীক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে নজরদারি বাড়াতে সাদা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ থাকছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছাড়া আর কেউ যাতে ঢুকতে না পারে সেদিকে নজরদারি করা হবে। পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের জালিয়াতি ঠেকাতে কোনো পরীক্ষার্থী যাতে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য গেটে নিরাপত্তাকর্মীদের দ্বারা পরীক্ষার্থীদের চেক করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হবে।

ভর্তি পরীক্ষার কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে রাবি প্রক্টর প্রফেসর তরিকুল হাসান জানান, যান চালাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ট্রাফিক পুলিশ থাকবে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ভবনে, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে পুলিশ রয়েছে, এছাড়া একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পও আছে।

পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হেল্প ডেস্ক বসানো হবে। তবে কোনো রাজনীতিক বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হেল্প ডেস্ক দিতে পারবে না।

এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের অ্যাটেন্ডেন্ট সিটে পরীক্ষার্থীদের ডিজিটাল ছবি থাকবে, যে ছবিটি পরীক্ষার্থী ইন্টারনেটে ফরম পূরণের সময় আপলোড করেছিলো। আর সেই আপলোড করা ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবির মিল থাকতে হবে বলেও জানান প্রক্টর তরিকুল হাসান।

এ বিষয়ে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জাগো নিউজকে বলেন, পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাশেদ রিন্টু/এমজেড/পিআর