ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

হরতালে মানুষ কাজে যায়

প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৫

আগে হরতাল হলে মানুষ ঘর থেকে বের হতো না, কিন্ত এখন মানুষ হরতালকে উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, হরতাল দিয়েই আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু বর্তমান সময়ে হরতালের চিত্র এটিই।

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে “সাত দশকের হরতাল ও বাংলাদেশের রাজনীতি” শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

“সাত দশকের হরতাল ও বাংলাদেশের রাজনীতি”( ১৯৪৭ সালের ১৩ই ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাত দশক সময়কালে বাংলাদেশ ভূখন্ডে দেশব্যাপি বা জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের হরতালসমূহের বিশ্লেষণভিত্তিক উপস্থাপনা) এটির গবেষক ও উপস্থাপক দৈনিক সমকালের সহযোগী সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবুল মনসুর, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাঈদ, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সরওয়ার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সিপিডির নিবার্হী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাবি সিনেট সদস্য আফজাল হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসসহ প্রমুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন।

উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের আগের এবং বর্তমান সময়ের হরতালের ধরণ আলাদা। হরতাল যদি জনগণের স্বার্থে হয়, তাহলে জনগণ তা পালন করে।

সৈয়দ আবুল মনসুর বলেন, হরতাল একটি রাজনৈতিক বিষয়। বহুভাষা দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার মাটিতে রাজনীতিবিদরা যদি হরতাল না ডাকতো তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। হরতালের ইতিহাস দেশ বিজয়ের ইতিহাস।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে হরতালে অ্যামবুলেন্সদের ব্যবসা জমজমাট। সত্তর, আশির দশকে আমরা যে হরতাল পালন করেছি, বর্তমান সময়ে তা আর দেখি না।

সম্পাদক গোলাম সরওয়ার বলেন, হরতালকে না বলো। এটি কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অংশ নয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা প্রতীকি হরতালকে সাধুবাদ জানান তিনি। কারণ, এই হরতালে কোন রাহাজানির ঘটনা ঘটেনি।

এমএইচ/এএইচ/আরআইপি