সামিয়া-মারজানের গবেষণায় ‘চৌর্যবৃত্তি’: ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে ঢাবি
গবেষণায় ‘চৌর্যবৃত্তির’ অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান ও অপরাধবিজ্ঞান (ক্রিমিনোলজি) বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় সিন্ডিকেট কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়। সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০১৬ সালের ২ ডিসেম্বর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান ও অপরাধবিজ্ঞান (ক্রিমিনোলজি) বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের 'A new dimension of Colonialism and Pop Culture : A Case Study of the Cultural Imperialism'- নামক আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ সোশ্যাল সাইন্স রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত হয়। যা ১৯৮২ সালে শিকাগো জার্নালে প্রকাশিত মিশেল ফুকোর 'Subject and Power' প্রবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল করা। ২০১৭ সালে এক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই চুরির অভিযোগের কথা জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।
এ অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনও জমা দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে আজকের সিন্ডিকেট সভায় অনেক এজেন্ডা ছিল। এখন কিছু বললে জটিলতা লেগে যায় কি না- তাই বলা যাচ্ছে না। আগামীকাল আমরা সবকিছু গুছিয়ে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেব।’
এছাড়া ২০১৭ সালে জাগো নিউজের এক প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও বিজয় একাত্তর হলের সহকারী হাউজ টিউটর মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা না দেয়ার বিষয়টি উঠে আসে। দুই বছরে তার কাছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা বাকি হিসেবে পান বলে সে সময়ে দাবি করেছিলেন ক্যান্টিন সংশ্লিষ্টরা।
এফআর