ঢাবির গণরুম বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত ছাত্র সংগঠনগুলোর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোর সার্বিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের হলে না থাকা এবং তথাকথিত গণরুম সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেয়া উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ১৩ ছাত্রসংগঠনের নেতারা। এ ব্যাপারে তারা হল প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
শনিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় হলসমূহের আবাসন ও শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদভুক্ত ক্রিয়াশীল ১৩টি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, দেশের সার্বিক কোভিড পরিস্থিতি ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে আবাসিক হল খোলা ও ক্লাস কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে ও হলে শিক্ষার্থীদের জীবনাচার বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রণয়নের ওপর সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় হলসমূহের সার্বিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের হলে না থাকা এবং তথাকথিত গণরুম সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেয়া উদ্যোগকে ছাত্রসংগঠনের নেতাদের স্বাগত জানান এবং এ ব্যাপারে তারা হল প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পাশাপাশি তারা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত রাখার উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এজন্য তারা সব শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণের জন্য চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন, ডাটা প্যাকেজ ও ডিভাইস প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে মূল্যায়নযোগ্য পরীক্ষা কার্যক্রম অনলাইন কার্যক্রমের আওতায় না আনার জন্যও তারা কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এসআর/এমকেএইচ