ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম : শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ‘গ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পুলিশের ভ্রম্যমাণ আদালত। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আরেক ব্যক্তিকে শাহবাগ থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এ রায় দেন ঢাকা জেলা প্রশাসক অফিসের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট শারমিন সুলতানা। ১৯৮০ সালের ‘পাবলিক পরীক্ষা আইন’ এর ৩(খ) ধারায় তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়।
দণ্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নাম সঞ্জয় কুমার সাহানী। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল ৭০৬৬৭৪। অন্যজন হলো সঞ্জয়ের বন্ধু মেহেদী হাসান ।
এদিকে, শুক্রবার দিবাগত রাতে ও সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় আটকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়।
আটকদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে এর আগেও মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল থেকে বহিষ্কার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে তার নাম জানাতে পারেননি ঢাবি প্রক্টর।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার কেন্দ্রে সঞ্জয় এবং মেহেদী হাসান নামে এক শিক্ষার্থীর একই রোল দেখা গেলে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পরিদর্শকের। তাই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে পাঠানো হয়।
সেখানে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সঞ্জয় এর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কোন রেকর্ড নেই। তাই তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়। অন্যদিকে মেহেদী হাসানের বিষয়টি ঘটনার শিকার উল্লেখ করে তাকে ছেড়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু সঞ্জয়কে সহযোগিতাকারী তার বন্ধু মেহেদী হাসান নামের অপর আরেক জনকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তারা বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী।
তিনি বলেন, ফেসবুকে ভুয়া আইডি থেকে গতকাল প্রশ্নপত্রের একটি ছবি আপ করা হয়েছে। মূলত সেটি ছিল ‘খ’ ইউনিটের প্রশ্ন তাতে ফটোশপের মাধ্যমে ‘গ’ ইউনিট বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, একটি মহল শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে এমন কাজ করছে ।
তিনি আরো বলেন, হয়তোবা এরা ঢাবির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যও এমন কাজ করছে। তবে আমরা বলবো ঢাবির প্রশ্ন ফাঁস হয় না কখনো ফাঁস করাও অসম্ভব। এ ঘটনায় আমরা ইতোমধ্যে তিন জনকে আটক করেছি। আরো কিছু নাম রয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, পরীক্ষায় একটি চক্র অনিয়ম করতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ৭টায় তল্লাশি চালানো হয়। এ পর্যন্ত ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীক ৮ জনকে আটক করা হয়।
এমএইচ/এসকেডি/এমএস