ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ঢাবি ও জবির ‘গ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের গুঞ্জন

প্রকাশিত: ০৩:৪৯ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায়ে শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকালে প্রশ্নপত্রের বেশ কিছু নমুনা ভর্তিচ্ছু কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জাগো নিউজের হাতে এসেছে। একটি চক্র এ প্রশ্ন ফাঁস করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর আগে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়ও আরেকটি চক্র শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন দিবে বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জাগো নিউজে এ নিয়ে ওইদিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সে প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রটির ৩ জনকে ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও ঢাবি কর্তৃপক্ষ আটক করেছে। তবে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রটি ‘চ’ ইউনিটের প্রশ্নও ফাঁস করেছিল বলে দাবি করছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এইচ আর এস কিবরিয়া নামে একজন ফেসবুকে ‘মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ১০০% কমন প্রশ্নপত্র গ্রুপ’ নামে একটি পেইজে লেখেন ‘১০০০০০০০% কমন সি-ইউনিট, যারা চান তারা ইনবক্স মি।’ এরপর তার আরেকটি পোস্টে ছিল ‘ঢাবি সি-ইউনিট ১০০% কমন প্রশ্ন যার নিতে চাও তারা আমাকে কল দাও। রাত নয়টার মধ্যে আমি প্রশ্ন দিয়ে দিবো উত্তরসহ।’

Question

পরে তার সাথে ভর্তিচ্ছু সেজে একজন যোগাযোগ করলে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে ইনবক্সের মাধ্যমে হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ করতে বলেন। সেখানে যোগাযোগ করলে শুরু হয় তাদের কথোপকথন। চক্রটি ওই শিক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নের বিনিময়ে দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে হোয়াটস অ্যাপের  মাধ্যমে প্রশ্নের কয়েকটি নমুনা দেন। যেগুলোর মধ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নমুনা রয়েছে। যদিও তার দেয়া প্রশ্নগুলোর সত্যতা নিয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।

এরপর শুক্রবার সকালে এক শিক্ষার্থীকে হাতে লেখা বেশ কিছু প্রশ্ন দেয় চক্রটি। তবে টাকা পরে নেয়ার শর্তেই তিনি এ প্রশ্নগুলো দেন। এছাড়া আগের রাতে বেশ কিছু ঢাবি ও জবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের কভারও দেন তিনি। ঢাবির প্রশ্ন মিললে জাবির প্রশ্ন টাকা দিয়ে নেয়া হবে বলে স্বীকৃতি দেয় এ শিক্ষার্থী। তবে হাতে লিখে দেয়া প্রশ্নগুলো অর্জিনাল বলেই দাবি তার।

Question1

এর আগের রাতে প্রশ্ন মিললে তাকে বিকাশের (বিকাশ নম্বর-০১৮৪****৬৬৪ (পারসনাল)) মাধ্যমে টাকা দেয়ার কথা বলে চক্রটি। যদিও সকালে সরাসরি টাকা নেয়ার কথা বলে। আর জবির প্রশ্ন টাকা দিয়েই হাতে হাতে নেয়ার কথা বলেন তিনি।

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয় না। তবে প্রশ্ন ফাঁসের যে অভিযোগ ওঠেছে তা আমি শুনেছি কিন্তু এখনো কোন প্রশ্ন দেখিনি।

এমএইচ/এআরএস/পিআর

আরও পড়ুন