বাংলাদেশের জয়ে ঢাবিতে বাধভাঙা উল্লাস
ভারতের সঙ্গে গত কয়েকটি বিশ্বকাপের বিভিন্ন ম্যাচে তিক্ত অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের। বিভিন্ন ম্যাচের ফাইনালে বাংলাদেশ কেমন জানি ভেঙে যায়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে বেশ কয়েকবার কাঁদিয়েছে ভারতের ক্রিকেট টিম।
তবে এবারই প্রথম ফাইনাল ম্যাচ খেলতে সামর্থ্য হয় বাংলাদেশ। প্রথমে বাংলাদেশ বোলিংয়ে ভারতকে ব্যাপক শাসন করলেও ব্যাটিংয়ের মাঝামাঝি সময়ে আহত হয় উদীয়মান যুব টাইগাররা। একে একে ৭ জন টাইগারের পতন হলে শেষবার রবার্ট ব্রুসের মতো টাইগাররা আবার গর্জে উঠে তাদের প্রতিপক্ষকে শক্ত হাতে ঘায়েল করে।
বাংলাদেশের যুব টাইগারদের ব্যাটিংয়ে ভারতের থাবায় বাংলাদেশ টিমের মত কিছুটা ভেঙে পড়েছিল দর্শকরা। একটু পর ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠে টাইগাররা। সঙ্গে সঙ্গে জেগে বাংলোদেশের ১৬ কোটি মানুষ।
খেলার দেখার জন্য দেশের সবচেয়ে বড় জমায়েত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)। জমায়েতে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ টিমকে উৎসাহ দিতে প্রতি রান ও বাউন্ডারিতে হাত তালি দেয়। আর বলতে থাকে ‘মার মার’, ‘সাবাস বাংলাদেশ সাবাস’।
খেলার এক পর্যায়ে মাঠে যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন বাংলাদেশের জয়ের জন্য রান লাগে ১৬। আর ডিএসএল মেথডে বাংলাদেশ ১৮ রানে এগিয়ে। এ তথ্য জানার পর পরই টিএসসিতে শুরু হয় বাধ ভাঙা উল্লাস, জয়ধ্বনি, চিৎকার আর আনন্দ মিছিল। কিছুক্ষণের জন্য কে ছাত্র, কে শিক্ষক আর কে পথচারী, রিকশাচালক তা ভুলে গিয়ে সবাই একসঙ্গে বাধভাঙ্গা উল্লাসে ফেটে পড়ে দর্শকরা।
আল সাদী/এমএসএইচ