জাবিতে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে নতুন কর্মসূচি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়ক দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন।

তিনি বলেন, গত ৫ নভেম্বরে উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার, হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ তার অপসারণের দাবিতে আগামী ২৭ নভেম্বর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও ৩ ডিসেম্বর উপাচার্যের দুর্নীতির ক্ষতিয়ান জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, এ উপাচার্যের দুর্নীতি, মামলাবাজি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানের বিষয়টি সর্বজনবিদিত। গত ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের দাবানল ও দেশবাসীর ধিক্কারের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সৎসাহস না থাকায় নিজের গদি টেকানোর জন্য অপূর্ণাঙ্গ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে উপাচার্য হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণা করেন। ফলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি নিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়।

মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম সচল রয়েছে। এর মাঝেই ঘটেছে বেশ কয়েকটি নিয়োগের ঘটনা। এছাড়া প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ভর্তির জন্য নবীন এ শিক্ষার্থীরা সাধারণত হলে অবস্থান করেই ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। ফলে হল বন্ধ করে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করলে ভর্তিচ্ছুদের ওপর অশেষ ভোগান্তি নেমে আসবে। যার অধিকার উপাচার্যের নেই।

তিনি বলেন, আমরা হল খুলে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। ভর্তি কার্যক্রম সচল ক্যাম্পাসেই সম্পন্ন করতে হবে। সেই সঙ্গে ৫ নভেম্বরের হামলাকারী ও হামলায় মদতদাতাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থিতিশীল পরিবেশের স্বার্থে উপাচার্যের অপসারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আওলাদ হোসেন ছাড়াও ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), সাংস্কৃতিক জোটের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফারুক হোসেন/এমএএস/জেআইএম