ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

আন্দোলন ঠেকাতে ৩০০ পুলিশ চেয়েছে জাবি প্রশাসন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কায় নারী সদস্যসহ ৩০০ পুলিশ চেয়ে সাভার থানা পুলিশের কাছে আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার কথা জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এ আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।

এর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। একই সঙ্গে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব রহিমা কানিজ বলেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কায় নারী সদস্যসহ ৩০০ পুলিশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে চলা আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা ও হল খালি করার নির্দেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মিছিলে যোগ দেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত হল ত্যাগ না করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে তার বাসভবন অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের ঘিরে চার স্তরবিশিষ্ট বহর তৈরি করে মুখোমুখি অবস্থান নেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আন্দোলনকারীরা যখন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তখন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা সেখানে যান। তারা আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তুলে দিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে তারা বাসভবনে ঢুকতে পারেননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি মিছিল সেখানে আসে। ওই মিছিলে দুই শতাধিক নেতাকর্মী ছিলেন। ছাত্রলীগের মিছিল থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করা হয়। মিছিলকারীরা উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এরপর তারা ওই জায়গায় অবস্থান নেন।

দুপুর দেড়টার দিকে বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলনকারীদের আমার বাসভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের পেছনে জামায়াত-শিবির রয়েছে। তারা কয়েক দিন ধরে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমি বের হতে পারিনি।

এএম/পিআর