ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

জাবিতে ভর্তি ফরমের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৮:৫০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে পাঁচটি অনুষদে ভর্তির আবেদন ফরমের মূল্য বৃদ্ধি ও টাকা ভাগ-বাটোয়ারার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।

শনিবার ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি তন্ময় ধর ও সাধারণ সম্পাদক দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজলের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানতে পেরেছি যে, এ বছর গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ (এ-ইউনিট), সমাজবিজ্ঞান অনুষদ (বি-ইউনিট), জীববিজ্ঞান অনুষদ (ডি-ইউনিট), বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ (ই-ইউনিট) এই পাঁচটি অনুষদে ফরমের মূল্য ৫শ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া কলা ও মানবিকী অনুষদে (সি-ইউনিট) বিভাগভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রতি বিভাগে আবেদন ফরমের মূল্য ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এই অনুষদে পৃথকভাবে নয় বিভাগে পরীক্ষা দিতে হলে একজন ভর্তিচ্ছুকে গুণতে হবে ১৫৭৫ টাকা, যা অযৌক্তিক ও অন্যায় বলে আমরা মনে করছি।

আমরা আরো বলতে চাই, ভর্তি পরীক্ষা থেকে আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ বিশ্ববিদ্যালয় কোষাগারে জমা দেয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরই সেই নিয়মের তোয়াক্কা করে না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভর্তি ফরমের মূল্য বৃদ্ধির এমন সিদ্ধান্তে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, প্রতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি বাবদ আদায়কৃত টাকার অধিকাংশই নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ভর্তি পরীক্ষায় এই ভাগ-বাটোয়ারার চিত্র দীর্ঘদিনের।

খরচ বৃদ্ধির কথা বলে রীতিমতো ফরম বাণিজ্যে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে অধিক মূল্যে ফরম কিনতে বাধ্য হন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। আবার চড়া মূল্যে ফরম কিনতে না পেরে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দরিদ্র শিক্ষার্থীরা।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কোনো অজুহাতেই ভর্তি ফরমের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা যাবে না। আমরা ভর্তি পরীক্ষার মূল্য বৃদ্ধির এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানচ্ছি এবং বাড়তি মূল্য বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

হাফিজুর রহমান/এমজেড/পিআর