ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

জবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ, র‍্যাব বলল ভুল বোঝাবুঝি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০২:৩০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর র‍্যাব সদস্যদের মারধর করার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজন গুরুতরসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শুভ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ১১ ব্যাচের রবিউল, ১৪ ব্যাচ সাংবাদিকতা বিভাগের সুলাইমান, বাংলা বিভাগ ১৩ ব্যাচের আল-আমিন, ১৪ ব্যাচ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তাওসীব।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস সায়েদাবাদ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের মুখে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার কথা স্বীকার করেছে র‍্যাব। তারা বলছেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এটা ঘটেছে। তবে তাদের দাবি আহত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।

বাসে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বহনকারী উত্তরণ-২ বাসটি সায়েদাবাদ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে পৌঁছালে তারা দেখতে পান, র‍্যাব-১০ এর একটি গাড়ি ফ্লাইওভারে ওঠার মুখটি বন্ধ করে আড়াআড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এ সময় শুভ নামের ১১ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী গাড়ি সরাতে বললে র‍্যাবের গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে তাকে উপর্যপুরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় অন্যরা বাস থেকে নেমে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। এরপর বাকি শিক্ষার্থীরা বাস থেকে নেমে সড়ক অবরোধ করলে র‍্যাবের গাড়িটি ফ্লাইওভারের উপর উঠে যায়।

বাসে থাকা ১১ ব্যাচের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ বলেন, ওটা একটা সাদা গাড়ি ছিল, র‍্যাবের গাড়ি আমরা বুঝতে পারিনি। শুভ গাড়িটি সরাতে বলাতে আমরা বুঝে ওঠার আগেই ওকে মারধর শুরু করে। ওর চোখে মুখে মারাত্মক জখম হয়েছে।

বাসের চালক হাসান বলেন, ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে পৌঁছালে একটা সাদা রঙের হাইস আড়াআড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। আমি দুইবার হর্ন দিলেও গাড়ি সরায়নি। এ সময় শিক্ষার্থীরা গাড়ি সরাতে বললে মারধর শুরু করে। পরে শিক্ষার্থীরা সড়ক ঘিরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিলে র‍্যাবের গাড়িটি চল যায়।

র‍্যাব-১০ এর অ‌ধিনায়ক কায়উম উজ্জামান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওটা আমাদের একটা অভিযানের গাড়ি ছিল। এএসপি শ‌হিদুল ইসলাম মু‌ন্সি গাড়িটির দায়িত্বে ছিলেন। আমাদের গাড়িটা গিয়ার পাচ্ছিল না তাই দাঁড়িয়ে ছিল। ওখানে মূলত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। র‍্যাব বুঝতে পারিনি ওরা ছাত্র আর ছাত্ররাও বুঝতে পারিনি র‍্যাবের গাড়ি। আমার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।

এ বিষয়ে গাড়িতে থাকা র‌্যাব-১০ এর স্কোয়াড কমান্ডার ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এএসপি মো. শহিদুল হক মুন্সি বলেন, ঘটনার সময় আমি নিজেই উপস্থিত ছিলাম। আহত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটি ছোট বিষয়কে নিয়ে নিজেদের অসম্মান না করি।

আহতদের সংখ্যার কথা জানালে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন র‌্যাবের গাড়ির সামনে আসল?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, র‍্যাবের গাড়িটা ওখানে নষ্ট হয়েছিল। উপাচার্য মহোদয় র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রোববার তারা ক্যাম্পাসে এসে ক্ষমা চাইবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

এ বিষয়ে পরিবহনপুল প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাসুদের মুঠোফোনে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ইমরান খান/বিএ