পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাদের ভর্তি : জড়িতদের শাস্তি চায় সাদা দল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ৮ নেতাসহ ৩৪ ছাত্রলীগ নেতাকে অনিয়মের মাধ্যমে ভর্তির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে সংগঠনটি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের স্বপদে দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকারও দাবি জানিয়েছে সাদা দল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি এবং ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি একটি চরম অনিয়ম এবং অমার্জনীয় অপরাধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি সংক্রান্ত খবরে আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এতে বলা হয়, এই অবৈধ ভর্তি প্রক্রিয়ায় জড়িতদের সবাইকে নৈতিক স্খলনের দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তাদের জন্যই আজ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের গর্বের স্থানটি পদদলিত হয়ে যাচ্ছে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বিবৃতিতে সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খানসহ অন্যদের মধ্যে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন, ড. মো. মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশীদ, অধ্যাপক আহমেদ জামাল আনোয়র, মোহাম্মদ দাউদ খান, ইসরাফিল প্রামাণিক, মো. আল আমিন, সাবরিনা শাহনাজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ভর্তি বিজ্ঞাপন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ডাকসু নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের ৩৪ নেতা ভর্তি হন। ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদেও ডিনের ‘চিরকুটে’ ছাত্রলীগের ওই নেতারা ভর্তি হন। পরে এসব নেতাদের মধ্যে আটজন ডাকসু ও হল সংসদে নির্বাচিত হন। এরা হলেন ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী, সদস্য নজরুল ইসলাম, সদস্য মুহা. মাহমুদুল হাসান, সদস্য রাকিবুল ইসলাম, সদস্য নিপু ইসলাম তন্বী ও স্যার এ এফ রহমান হলের ভিপি আবদুল আলিম খান।
এসআর/এমকেএইচ