ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করার দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বেতন স্কেল, চাকরির বয়সসীমা ৬২ করা এবং আগের কর্মঘণ্টায় ফিরে যাওয়ার দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি প্রতিবাদ সভা ও কর্মবিরতি পালন করেছে।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সভা ও কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়।

ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা, সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা এতে উপস্থিত ছিলেন।

Islami University

প্রতিবাদ সভায় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একাধিকবার আমাদের দাবিগুলো নিয়ে বসার আশ্বাস দিয়েছিল। আজ পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলো আলোর মুখ দেখেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধ্য করেছে আমাদের মাঠে নামতে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাই অতিদ্রুত জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার। না হলে আগামী শনিবার থেকে টানা আন্দোলনে নামব আমরা।

কর্মকর্তাদের তিন দফা দাবি হলো- একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের সময়সীমা সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা ও সপ্তাহে দুইদিনের ছুটির পরিবর্তে একদিন ছুটি, চাকরির বয়সসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছরে উন্নীত করা এবং উপ-রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল চতুর্থ গ্রেডে ৫০ হাজার এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের জন্য ষষ্ঠ গ্রেডে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা।

গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৬তম সিন্ডিকেট সভায় কর্মকর্তাদের বেতন স্কেলের দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী।

Islami University

তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের বয়সসীমার দাবি সিন্ডিকেট সভায় মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়া বেতন স্কেলের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তবে আগের কর্মঘণ্টায় ফিরে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বর্তমান কর্মঘণ্টায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং সাধারণ কর্মচারীরা খুশি।

এর আগে কর্মকর্তাদের বেতন স্কেলের বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেন উপাচার্য। কমিটির অন্য সদস্যরা হলের- অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়া এবং উপ-রেজিস্ট্রার মিন্টু কুমার বিষ্ণু।

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/এএম/এমএস

আরও পড়ুন