প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় বেরোবি প্রশাসনের মামলা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে তাজহাট থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঘটনার পাঁচদিন পর গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তাজহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রোকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফয়সাল আযম ফাইন, একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হোসেন, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইমরান কবীর এবং গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাবেক পরিকল্পনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলামের নেতৃত্বে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃতীশ চন্দ্র বর্মন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন সবুজ, জিসান, গোলাম মুর্শিদ, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী ও সুব্রত ঘোষসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট রাত সোয়া ৯টার দিকে ফয়সাল আযম ফাইনের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শহীদ মুখতার ইলাহী হলে হামলা করে। এ সময় তারা হলটির ৫০৫ এবং ৫০৬ নম্বর কক্ষে হামলা চালিয়ে দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। তারা ৫০৫ নম্বর কক্ষে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে মাটিতে ফেলে দেয়।
একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হলের ৪০৬ ও ৪০৭ নম্বর হলের দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ সময় বাধা দিতে এলে আলী আহমেদ নামে এক নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় গত ২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়ার করা মামলায় পরদিন ২৪ আগস্ট ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফয়সাল আযম ফাইন, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত ঘোষসহ ফিরোজ নামে আরেক স্থানীয় যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সজীব হোসাইন/আরএআর/পিআর