বহিরাগতকে আটক করে মুক্তিপণ দাবি : ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বহিরাগত এক শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের দুই শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন। এছাড়াও ওই ঘটনায় একজনকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় তাদের দুই জনকে হল থেকে বহিষ্কার ও একজনকে পুলিশে দেয়া হয়। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার। এমনকি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের রুম ২০০৮ ও ২০৬ নম্বর রুমকে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সুব্রত ভক্ত এবং ভাস্কর্য বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র পলাশ শাহ্। আর আটককৃত শিক্ষার্থীর নাম রাসেল আল মাহমুদ। এসময় তার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পত্র নিয়ে নেন হল প্রাধ্যক্ষ। যেখানে বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের নাম লেখা থাকলেও ওই নামে বিভাগে কোন শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এছাড়া জহুরুল হক হলের নাম ও রুম নাম্বার (৩৩৯নং রুম) লেখা থাকলেও ওই নামে কেউ ওই রুমে থাকেনা বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সে ও বহিরাগত এবং ভুয়া আইডিকার্ডধারী।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম জাকারিয়া। সে জানায়, বুধবার দুপুরে শামসুন্নাহার হলের সামনে তার বান্ধবীর সাথে দেখা করতে আসে। এরপর সে চলে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে সুব্রতসহ আরো তিনজন। তারা তাকে মারধর করতে করতে হলের মাঠের গ্যালারিতে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে সেখানে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
ঘটনার জানাজানি হলে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অসীম সরকার সেখানে গেলে তাকে চিনতে পেরে সুব্রত ও পলাশ পালিয়ে গেলেও রাসেল পালাতে পারেনি। তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ভোক্তভোগীর বান্ধবী জানান, জাকারিয়া গত চারবছর ধরে তাকে উত্যক্ত করছিল। আজকেও সে ক্যাম্পাসে আসলে আমি তাকে আর আসতে মানা করে দেই। তবে তিনি তাকে কোন হুমকি দেননি বলে জানান। তবে সুব্রতকে জাকারিয়ার উত্যক্ত করার কথা জানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম সরকার বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি সেখানে গেলে সুব্রত ও পলাশ পালিয়ে যায়। আর রাসেলকে আটক করে আমরা পুলিশে দিয়েছি। তবে অভিযুক্ত ওই দুইজনকে আমি তাৎক্ষণিকভাবে হল থেকে বহিস্কার করে দিয়েছি। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি