ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | বেরোবি | প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৯

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফয়সাল আযম ফাইনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মুখতার ইলাহী হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়ার কক্ষ ও ওই হলের সভাপতি হাসান আলীর কক্ষসহ তিনটি কক্ষে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের কক্ষে এ ভাঙচুর চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্র বলছে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার শহীদ মিনার চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করতে যান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ। সেখানে তাকে বাধা প্রদান করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফয়সাল আযম ফাইনের অনুসারীরা। এ সময় তাদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বাগবিতণ্ডা চলে। এর কিছুক্ষণ পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের ৪০৭ নম্বর কক্ষে ভাঙচুর চালায় ফয়সাল আযম ফাইন। পরে তার নেতৃত্বে শহীদ মুখতার ইলাহী হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ৫০৫ নম্বর কক্ষ ও হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান আলীর ৫০৬ কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ভাঙচুর করা ছবি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

BRU

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘ফয়সাল আযম ফাইন ক্যাম্পাসে অনেকদিন ধরেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। বুধবার তার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা প্রথমে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। পরে তারা তিনটি রুমে হামলা করে জাতির জনক ও তার কন্যার ছবি ভাঙচুর করে।’

তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফয়সাল আযম ফাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়ার রুমে কিছু বহিরাগত ইয়াবা সেবন করছিল। সেসময় আমরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে হল থেকে বের করে দিয়েছি। কোনো ছবি ভাঙচুরে ঘটনা ঘটেনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘যারা শোকের মাসে জাতির পিতা ও তার কন্যার ছবি ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. আতিউর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সজীব হোসাইন/এমবিআর/পিআর

আরও পড়ুন