শিক্ষার্থীদের হিসাবে ঢাবিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রায় দেড়শ!
শিক্ষার্থীদের হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত প্রায় দেড়শ ছাত্র-ছাত্রী। তবে প্রশাসন এই হিসাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও, ডেঙ্গু প্রতিরোধে যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ডেঙ্গু প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেখা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি হলে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) ফিন্যান্স বিভাগের ২০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে বিদ্যুৎ সেখানের একজন কর্মচারীও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, রাজধানীতে ডেঙ্গু ইচ্ছে দুর্যোগ দেখা দিয়েছে তার প্রাদুর্ভাব থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলো বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা হলে হলে পরিষ্কার পরিছন্নতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট হলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটা হলে নিয়মিত মশার স্প্রে করা হচ্ছে। সবার সমন্বিত প্রয়াসে এই প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি ডাকসুও কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা সিটি কর্পোরেশন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ 'স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' এ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। যার নিচে শিক্ষার্থীরা কমেন্টের মাধ্যমে নিজ নিজ হলের ডেঙ্গুর পরিস্থিতিও আক্রান্ত ব্যক্তিদের তথ্য দেয়।
শিক্ষার্থীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, হলগুলোতে প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এর মধ্যে- এফএইচ হলে ২৪ জন, সূর্যসেন হলে ১৪ জন, জসীমউদদীন হলে ৬ জন, বিজয় একাত্তর হলে ২০ জন, শহীদুল্লাহ হলে ১৪ জন, জিয়া হলে ৯ জন, এসএম হলে ১২ জন, অমর একুশে হলে ৩ জন, জগন্নাথ হলে ৪ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৬ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৫ জন, স্যার এ এফ রহমান হলে ৫ জন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১১ জন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে ২ জন, শামসুন্নাহার হলে ৫ জন এবং কবি সুফিয়া কামাল হলে ১১ জন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা রেখে আজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্লাটিলেট পরীক্ষার মেশিন বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভিসি অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
এমএইচ/এমএসএইচ