ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

‘আমি জয়নাল, এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যু আমার রক্তের সঙ্গে প্রতারণা’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:২৯ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৯

স্বৈরাচার সরকার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যুতে অভিনব প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।

রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অভিনব প্রতিবাদ করেন তারা। সাদা কাপড়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান-সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে দাঁ‌ড়ান সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখানে লেখা ছিল-‘আমি জয়নাল, এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যু আমার রক্তের সঙ্গে প্রতারণা’; ‘আমি নূর হোসেন, এরশাদ আমার খুনি’; ‘আমি ডা. মিলন, আমার খুনি এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যু চাইনি’ ইত্যাদি।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিমসহ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের ভাষ্য, ‘এরশাদ বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত স্বৈরশাসক। তার মতো স্বৈরাচারী সরকার এরশাদের মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল ফাঁসির দড়িতে। কিন্তু হলো স্বাভাবিক মৃত্যু। যা শহীদদের জন্য অপমানজনক। এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যুতে শহীদ ডাক্তার মিলন, রাউফুন বসুনিয়া, দিপালি সাহা, জয়নালের মতো শহীদদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এসব শহীদদের এরশাদের নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। তার স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের অপরাজনীতি।’

ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, ‘এরশাদ বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত স্বৈরাচার। তিনি ক্ষমতায় থাকার সময় ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। শুধুমাত্র ঢাকা শহরে না, সারাদেশেই এরশাদের গুন্ডা ও সেনাবাহিনীর হাতে অগণিত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা মনে করি, একজন স্বৈরশাসক আজকে যে মর্যাদার সঙ্গে মৃত্যুবরণ করলেন এটা তার সঙ্গে হওয়ার কথা ছিল না। তাকে জেলখানা বা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে মৃত্যুবরণ করার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অপরাজনীতির কারণে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মান পাচ্ছেন। এটা শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। ডাক্তার মিলন, রাউফুন বসুনিয়া, জয়নালদের প্রতি অবিচার।’

এমএইচ/এসআর/পিআর

আরও পড়ুন