প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
চলমান সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন করে এ আহ্বান জানান তারা।
মানববন্ধনে আন্দোলন-পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা কলেজের ছাত্র আবু বকর বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি হলো সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকা কলেজের সামনে থেকে গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্মারকলিপি দেয়া।’ দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তীব্র সেশনজট, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা, ত্রুটিযুক্ত ফলাফল প্রকাশ, একই বিষয়ে গণহারে ফেল, বিনা নোটিশে নতুন নিয়ম কার্যকর, সিলেবাসবহির্ভূত প্রশ্নপদ্ধতিসহ নানা সঙ্কট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ৫ দফা দাবিতে টানা আন্দোলনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বার বার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলেও কার্যত সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের ছাত্র রায়হান হোসেন বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবি না মেনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়েছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক সমস্যার সমাধান চাই।’
ইডেন মহিলা কলেজের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী আনিকা রহমান বলেন, ‘সেশনজটে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই সেশনজট নিরসন হোক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের দাবি আদায়ের আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা কলেজের ছাত্র আবু বকর জাগো নিউজকে বলেন, ‘অধিভুক্ত কলেজ বিষয়ে আর কোনো আশ্বাস নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে যৌক্তিক সমস্যার সমাধান চাই। আমরা হতাশ তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মিথ্যা আশ্বাস আর শুনতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত করেছেন। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যার দ্রুত সমাধান।’
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা হলো :
১. ফলাফল প্রকাশের দীর্ঘায়ন পরিহার করে ৯০ দিনের মধ্যে সব বিভাগের ত্রুটিমুক্ত ফলাফল একসঙ্গে প্রকাশ করা।
২. অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রি সব বর্ষের ফলাফলে গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
৩. সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন চাই।
৪. সিলেবাস অনুযায়ী মানসম্মত প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ উত্তরপত্র মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে সাত কলেজের শিক্ষক দ্বারা করতে হবে।
৫. সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করা।
নাহিদ হাসান/এনডিএস/এমকেএইচ
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - ক্যাম্পাস
- ১ সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্মরণ
- ২ লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক রাজনীতির স্থান যেন ক্যাম্পাসে না হয়: সারজিস
- ৩ রোববার ঢাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করবে ছাত্রদল
- ৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ডাস্টবিন স্থাপন
- ৫ পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিতে গাছে মাটির হাঁড়ি জাবি ছাত্রদলের