ইবির শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশে হাইকোর্টের নির্দেশ
২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে চলতি বছর ৩০ এপ্রিলের নিয়োগ বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
গত ১১ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহা মাহবুব এবং বিচারপতি খাইরুল আলমের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চের এই আদেশ দেন। আদেশে পরবর্তী চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নিয়োগ বোর্ডে নির্বাচিতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না করে কর্তৃপক্ষ যদি পুনরায় নতুন নিয়োগ বোর্ড করতে চায় তাহলে আগের পদ বহাল রেখে নতুন করে একটি মাত্র পদের জন্য বোর্ড করতে পারবে বলেও আদেশ দেন হাইকোর্ট।
রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান এবং মহিউদ্দিন আহমেদ। সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা, বিভূতিভূষণ বিশ্বাস এবং আবুল কালাম খান দাউদ।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২০ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই বিভাগ। পরে অনেক বিতর্কের পর ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ড প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা করে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগের ফলে পরবর্তীতে সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সেসময় এই বোর্ডর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভাগের চার শিক্ষক ও এক নিয়োগ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
পূর্বের বোর্ডের বিষয়টি সমাধান না করেই গত ৩০ এপ্রিল নতুন বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে গত ২৭ মে প্রভাষক পদে দুইজনকে নিয়োগ দিতে বোর্ডের সময় নির্ধারণ করে বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়োগ বোর্ড নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে গত ২৬ মে তা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। একই দিনে বোর্ডের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন মনিরুল ইসলাম নামে আগের তালিকায় থাকা এক প্রার্থী।
রিটে গত ৩০ এপ্রিলে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। সেই সঙ্গে ২০১৩ সালের ২০ জুলাই প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের চূড়ান্ত ফল প্রকাশে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/এমবিআর/এমকেএইচ