ঈদের দিনও রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করবে পদবঞ্চিতরা
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে ঈদের সময়ও কর্মসূচি অব্যাহত রাখার হুমকি দেন তারা।
সোমবার দুপুরে টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
পদবঞ্চিতদের দাবি, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অছাত্র, বিবাহিত, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, হত্যা মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার আসামি এবং বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তানদের স্থান দেয়া হয়েছে। এজন্য এ কমিটির পুনর্গঠন চান তারা। অন্যথায় লাগাতার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
গত ১৩ মে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ার পর থেকে এই অংশটি আন্দোলন করছে। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া হবে- এমন সংবাদ পেয়ে গতকাল রাত থেকে তারা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন।
ছাত্রলীগের আগের কমিটির উপ-দফতর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘আমরা এখানে অবস্থান করব। এজন্য আমরা ঈদ ঢাকায় করার প্রস্তুতি নিয়েছি। যদি আমাদের এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান না দেয়া হয় তাহলে আমরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করব। এমনকি ঈদের দিনও।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা সভাপতি বি এম লিপি আক্তার বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মেনে নেয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মাদকাসক্ত, বিবাহিত, জামায়াত-শিবির পরিবারের যারা, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৭ জনের একটি লিস্ট দিয়েছেন। ১১ দিন আগে তাদের নাম ঘোষণা করা হলেও তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়নি এবং তাদের নিয়ে আজকে ফুল দিতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ধানমন্ডি ৩২ একটি পবিত্র জায়গা উল্লেখ করে রোকেয়া হল শাখা সভাপতি আরও বলেন, যারা জাতির জন্য কলঙ্কিত তাদের নিয়ে ছাত্রলীগ সেখানে কোনোভাবে ফুল দিতে যেতে পারে না। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এ সময় পাশে অবস্থান করা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা ‘শেইম শেইম’ বলে এর নিন্দা জানান।
মুজিব সৈনিক হিসেবে এগুলো আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। রাজাকারের সন্তান হয়ে ছাত্রলীগের ব্যানারে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যাবে- এটা আমাদের পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক বিষয়’- যোগ করেন লিপি আক্তার।
এমএইচ/এসআর/জেআইএম