ঢাবিতে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামর ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘নজরুল চেতনায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদশ’।
শনিবার (২৫ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ শোভাযাত্রাসহকারে কবির সমাধিতে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং ঢাবি নজরুল গবষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার, সম্প্রীতির, সাম্যের ও মানবতার কবি হিসেব আখ্যায়িত করে উপাচার্য বলেন, তিনি সবসময় অন্যায়-অত্যাচারর বিরুদ্ধে ও অসাম্যর বিরুদ্ধে দঢ়ভাবে প্রতিবাদী ছিলেন। তার লেখা গান, কবিতা, গল্প ও উপন্যাস আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
বাংলা বিভাগর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করন বিশ্ববিদ্যালয়র ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান। নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত বিভাগর শিক্ষক ড. মহসিনা আক্তার খানম (লীনা তাপসী), খায়রুল আনাম শাকিলসহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে এসে বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিয়ে নতুন করে ভাবনা ও বিতর্কের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম সারাজীবন অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের জন্য তার লেখনী কবিতা, গল্পের মধ্যে দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন। তিনি সব সময় কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে ছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করেছিলেন কবি নজরুল ইসলাম।
জাতীয় কবি হিসেবে সাংবিধানিক ঘোষণার নথিপত্র আছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কবি নজরুলকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলকাতা থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছিলেন। আমরা জানি তিনি আমাদের জাতীয় কবি। এটার কোথায় প্রজ্ঞাপন আছে কি-না সেটা সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন। কবিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। এটি নিয়ে নতুন করে ভাবনার ও বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়াও শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলা একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গণগ্রন্থার অধিদফতর, জাসাস, বাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, শিল্পকলা একাডেমি, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
এমএইচ/এমবিআর/জেআইএম