বহিরাগতদের সরাতে ঢাবির মুহসীন হলে গণশুনানি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল থেকে বহিরাগত বিতাড়ন করতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে হলের শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের পরিচয় ও তারা যেসব রুমে থাকে সেগুলো উপস্থান করেন। এতে শিক্ষার্থীদের গোপনে বহিরাগতদের নাম দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তাদের সিলগালা করে দেয়ার কথা জানায় হল প্রশাসন। সোমবার বিকেলে হলের অভ্যন্তরীণ মাঠে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মুহসীন হল ছাত্র সংসদ আয়োজিত এ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড়, মুহসীন হল ছাত্র সংসদের ভিপি শহীদুল হক শিশির, জিএস মিজান প্রমুখ।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, গোপনে আমাদের কাছে বহিরাগতদের নাম দিয়ে যাবে। যারা বহিরাগতদের রাখবে তাদের রুম আমরা সিলগালা করে দেব। যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না তারা এখানকার সব সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ ছাত্ররা জায়গা পাচ্ছে না। যে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ডিসিপ্লিন না থাকে সেটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য না। বহিরাগততে মুহসীন হল প্রথমস্থান হবে বলে স্বীকার করেন তিনি।
ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোনো বহিরাগত না থাকতে পারে। বহিরাগত উচ্ছেদে মুহসীন হল উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগকে সফল করার জন্য নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।
ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলে বহিরাগত থাকতে পারবে না। এ ব্যাপারে ডাকসুর সকল সহযোগিতা থাকবে। এসময় মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে যেন মুহসীন হলে কোনো বহিরাগত না থাকে সেই ব্যাপারে প্রশাসনকে হুশিয়ার থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড় বলেন, মুহসীন হলসহ ঢাবির প্রত্যেকটি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুস্থ আবাস ও পড়াশোনার পরিবেশ নিশ্চিতে ঢকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিও ডাকসুর সঙ্গে কাজ করে যাবে।
এমএইচ/এমএএস/জেআইএম
