ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

স্কয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শামীম। তিনি জানান, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক কৃষ্ণ প্রভুর ভুল চিকিৎসায় তার বাম হাত অকেজ হয়ে গেছে। বাম পাও খুঁড়িয়ে চলতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ঢাবিসাস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

শামীম বলেন, ‘মস্তিষ্কের রক্তনালীর টিউমার (ইনসুলার ক্যাভারনোমা) হওয়ায় ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হলে ডা. কৃষ্ণা প্রভু আমাকে দ্রুত অপারেশন করতে বলেন। না করলে স্ট্রোক করে যেকোনো সময় আমি মারা যেতে পারি। তিনি সহজেই এই অপরেশন করে দেবেন বলে জানান। কিন্তু ডাক্তারকে বারবার অপরেশনের পসিবল রিস্ক ও পোস্ট অপারেটিভ সিম্পটম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেও উনি সবকিছু সচেতনভাবে এড়িয়ে যান। স্কয়ারের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করাই ছিল ডাক্তারের মুখ্য উদ্দেশ্য।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৩ জানুয়ারি ডাক্তারের পরামার্শে অপারেশন করার পর আইসিইউতে থাকাকালীন আমার অ্যাটেনডেন্টকেও (ছোট ভাই) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়নি। ২৫ তারিখে আমি যখন ওয়াশরুমে যেতে চাই তখন ডিউটি ডাক্তার আমার ভাইকে জানান, আমার বাম পাশ আর কাজ করছে না। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে অপারেশনের সিডি চাইলে ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টালবাহানা শুরু করে।’

ডা. কৃষ্ণা প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অপারেশনের সময় আমার মস্তিষ্কের কয়েকটি নার্ভ কাটা যায় বলে জানানো হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরামার্শ দেন।

এ সময় শামীম তার অপরেশনের রিস্কের বিষয়ে কেন জানানো হয়নি সে ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তার উত্তরে ডাক্তার বলেন, তার (ডা. কৃষ্ণা) কারণেই তিনি (শামীম) পঙ্গু হলেও বেঁচে আছে। অন্য কেউ অপারেশন করলে সেটাও হতো না। তিনি পঙ্গু হাত নিয়ে বেঁচে থেকে সন্তুষ্ট থাকতে বলেন।

এ ঘটনায় গত ৭ তারিখ স্কয়ার হাসপাতালের সিইও বরাবর তার অপারেশনের সিডি ও পেশেন্ট ফাইল চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় বলেও দাবি করেন শামীম।

এমএইচ/এমবিআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন