অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ল্যাব উন্নয়নের নামে অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনালজি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষাভ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
বিক্ষোভকালে ‘অযৌক্তিক উন্নয়ন ফি নেয়ার নামে প্রশাসনের প্রহসন মানি না, মানবো না’, ‘অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহার চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহার চাই’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টার দিকে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. সৈয়দ মো. শামসুদ্দিনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনালজি ইনস্টিটিউট ঢাবিতে অন্তর্ভুক্তির পর থেকে প্রতি বছর মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ‘ল্যাব উন্নয়ন ফি’র নামে ২১ হাজার টাকা দিতে হয়। ব্যাংকে নয়, বরং এ টাকা সরাসরি ইনস্টিটিউটের অফিসে জমা দিতে হয়।
ইনস্টিটিউট থেকে বলা হয়, নতুন ইনস্টিটিউট হওয়ায় কিছু টাকা বেশি নিতে হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ অযৌক্তিক ফি বন্ধের দাবি করে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে।
২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের অর্ণব বলেন, মাস্টার্সে ভর্তি হতে গেলে ল্যাব উন্নয়ন ফি খাতে ২১ হাজার টাকা দিতে হয়। এতোগুলো টাকা সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে এ খাতে কোনো টাকা নেয়া হয় না। অথচ আমাদের ইনস্টিটিউটে এ টাকা না দিলে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে অন্য সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটর চেয়ে বেশি বরাদ্দ পায় লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনালজি ইনস্টিটিউট। তারপরও কেন আমাদেরকে এতো টাকা দিতে হবে? অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহার না করা হলে আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি।
এমএইচ/এমএসএইচ/পিআর