ঢাবিতে ক্লাসে-আড্ডায় লুঙ্গি
নিজেদের পোশাক ও সংস্কৃতি নিয়ে হীনম্মন্যতা দূর করে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাক লুঙ্গির গ্রহণযোগ্যতা সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘লুঙ্গি মহফেল ২০১৯’।
বুধবার দুপুরে টিএসসিতে জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘ঢাবি লুঙ্গি মহফেল’১৯ নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলে এ মহফেলের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ইভেন্টের উদ্দেশ্য অনুযায়ী লুঙ্গি পরে ক্লাসও করেছেন অনেকে। ঘুরে বেড়িয়েছেন ক্যাম্পাসে, দিয়েছেন আড্ডা। ‘আরামদায়ক পোশাক লুঙ্গি’, ‘ক্লাসে লুঙ্গি’, ‘জাতীয় পোশাক লুঙ্গি’ স্লোগান দিয়ে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় আরামপ্রিয় বাঙালি পুরুষের ঐতিহ্যবাহী পোশাক লুঙ্গিকে গ্রহণযোগ্য করতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলিতভাবে এই মহফেলের আয়োজন করেন।
চারটি উদ্দেশ্যে এ লুঙ্গি মহফেলের আয়োজন করা হয়। সেগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের জাতীয় পোশাককে একটা সম্মান দেয়া; লুঙ্গি দেখলে চোখ টাটানো ‘সাহেব’দের (ব্যঙ্গ করে) চোখকে কষ্ট দেয়া; লুঙ্গি পরে কাউকে ক্লাস করতে দেখলে আকাশ থেকে পড়া বা ফিসফিসানি-হাসাহাসি বন্ধকরণ এবং চক্ষু সহজীকরণ (ব্যঙ্গ করে), নিজেদের পোশাক ও সংস্কৃতি নিয়ে সর্বপ্রকার হীনম্মন্যতা দূরীকরণ।
এ বিষয়ে কথা হয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লুঙ্গি বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু মনে করা হয় যে লুঙ্গি পরিধান করে শুধু গরিবরা। এটি পরিধান করে বাইরে যাওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘লুঙ্গি পরিধান করে হলে থাকা গেলেও ক্লাস করা যায় না। দেখা যায়, পোশাককে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বিভিন্নভাবে। আমরা আজকে লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে ঘুরছি।’
আবু সাঈদ চান, শুধু গ্রামে বা বাড়িতে নয়, প্রত্যেক দিন, প্রত্যেক জায়গায় লুঙ্গি পরে সবাই যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারে সে ব্যবস্থা চালু করা হোক।
এমএইচ/এসআর/পিআর