ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

জাবিতে মেরে ফেলার হুমকি ইবির খেলোয়াড়দের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ড বল খেলোয়াড়দের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার বিকেল ৪টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে তাদের সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ড বল টিমের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ইবি টিম বিকেল ৩টার মধ্যেই মাঠে উপস্থিত হয়। তারা মাঠে অনুশীলন করতে থাকে। এ সময় জাবির ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী এসে কয়েকজন খেলোয়াড়কে মাঠের এক পাশে ডেকে নিয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে না খেলার জন্য হুমকি দেয়। এমনটাই অভিযোগ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও ইবি ক্রীড়া বিভাগের প্রধান ড. মো. সোহেলের।

খেলোয়াড়দের ভাষ্যমতে, ‘বিকেল ৩টায় মাঠে উপস্থিত হয়ে অনুশীলন শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে আমাদের খেলতে নিষেধ করে চলে যায়। তবে আমরা অনুশীলন চালিয়ে যাই। এর মিনিট পাঁচেক পর ২০-২৫ জন এসে অধিনায়ক আশিক খান এবং বিকেএসপির খেলোয়ার ইমনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারা বলে এখানে তোরা খেলতে পারবি না। আর যদিও মাঠে নামিস তবে না খেলে দাঁড়িয়ে থাকবি। তখন আমাদের দায়িত্বে থাকা শাহ আলম কচি স্যারের সঙ্গে কথা বলি। তিনি ঘটনাস্থলে এসে সংশ্লিষ্টদের জানালে খেলা স্থগিত করে। পরে আমরা জাবি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ওরাই আমাদের ধাওয়া করে। তবে কেউ আহত হয়নি। আমাদের যারা হেনস্থা করেছে তাদের সবাই ছাত্রলীগ কর্মী ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে শনাক্ত করতে পেরেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগের প্রধান ড. মো. সোহেল বলেন,‘ঘটনা শুনে আমি ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করেছি। ওইদিনের খেলা স্থগিত করা হয়েছে। আর ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়েও কথা চলছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই বেশ কয়েকটি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্ট শেষ করেছি। অথচ আমাদের খেলোয়াড়রা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছে। আর এ ঘটনাটি একেবারেই অনভিপ্রেত। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করব এবং এর প্রতিকার চাইব।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, তারা খেলা না করেই মাঠ ছেড়ে চলে গেছে। তবুও আমরা উদারতা দেখিয়ে বলেছি তারা যখন আমাদের সঙ্গে খেলতে চায় তখনই আমরা খেলব। আমাদের কাছে কোনো প্রকার অভিযোগ আসেনি। আর এখন যে অভিযোগ করা হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ নেই।

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/এফএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন