কী হলো কিছুই বললেন না নুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার চেয়ে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ৯টায় আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিসি আখতারুজ্জামান দেখা করতে আসেন। পরে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ডাকসুর ভিপি নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরকে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন ভিসি। তাদের সঙ্গে কার্যালয়ের লাউঞ্জে তিনি বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে বের হয়ে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি নুর। তিনি বলেছেন, বৈঠকে কী কথা হয়েছে তা তাদের পরবর্তী কর্মসূচিতে জানাবেন।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে ঢাবির এসএম হলের উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে মারধর করে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় অভিযোগপত্র দিতে এসএম হলে যান ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি, ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, অরণি সেমন্তি খানসহ কয়েকজন।
তারা হলটির ভেতরে গেলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয় ও অবরুদ্ধ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হলটির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ছাত্রলীগের অন্য নেতাদের আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার ও তাদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন সেমন্তি, ইমি ও বেনজির। ছাত্রলীগ তাদের গায়ে ডিম ছুড়ে মারে বলেও দাবি করেন তারা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিসির বাসভবনের সামনে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ভিপি নুরুল হক নুরসহ প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা। রাত পৌনে ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে ভিপি নুরুল হক নুরসহ প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করার অনুরোধ জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের আশ্বাসে ভরসা রাখেননি। তারা ভিসিকে ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানান। অনুরোধ না রাখায় এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী চলে যান।
এদিকে শিক্ষার্থীকে মারধর ও ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার এসএম হল প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এমএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম