অনশন স্থগিত, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম রোকেয়া হলের ছাত্রীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের পুনর্নির্বাচন এবং রোকেয়া হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন ছাত্রীরা। প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে হল গেট থেকে প্রভোস্টের বাসার সামনে এসে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রোকেয়া হলের ছাত্রীরা অনশনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গেটের বাইরে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অনশন ও বিক্ষোভ স্থগিত ঘোষণা করেন।
অনশনকারীরা হলেন- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাফিয়া সুলতানা, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সায়েদা আফরিন, একই বিভাগের জয়ন্তী রেজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রবণা শফিক দীপ্তি ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রমি খিশা।
অনশনকারীদের মধ্যে শ্রবণা শফিক দীপ্তি ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অনশন ও বিক্ষোভ স্থগিতের ঘোষণা দেন। অনশনকারীদের মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
একপর্যায়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ডাকসু জিএস ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং এজিএস সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ছাত্রীদের তোপের মুখে তারা চলে যেতে বাধ্য হন।
এর আগে বুধবার বিকেল থেকে চার দফা দাবিতে অনশন করছেন রোকেয়া হলের পাঁচ ছাত্রী। দাবির মধ্যে রয়েছে- ডাকসু ও হল সংসদে পুনর্নির্বাচন, হল প্রভোস্টের পদত্যাগ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এর আগে ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের দিন দুপুরে রোকেয়া হল সংসদের কক্ষে সিলগালা করা ব্যালট পেপারের প্যাকেটসহ তিনটি ট্রাংক পাওয়া যায়। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে ট্রাংকগুলো বাইরে নিয়ে আসে। ট্রাংকের ভেতরে থাকা সিলগালা করা ব্যালট পেপারের প্যাকেট থেকে ব্যালট পেপার বের করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন তারা।
এমএইচ/বিএ