কৃত্রিম লাইনে বিরক্ত সাধারণ ভোটাররা
ড. শহীদুল্লাহ হলের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র আশিকুর। দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ায়ে থাকলেও এখনও ভোট দিতে পারেননি তিনি। সময় গড়ায়, কিন্তু লাইন যেন এগোয় না। শুধু আশিকুর নয়, দীর্ঘসময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে না পেরে বিরক্ত এমন হাজারো শিক্ষার্থী।
সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্র থেকে দীর্ঘ লাইন গিয়ে ঠেকেছে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত। ভেতরে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার ধীর গতির কারণে বাইরে ভোটারদের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
একই অভিযোগ করে ছাত্রদলের জিএস প্রার্থীর অভিযোগ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টায় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে ডাকসু নির্বাচনকে নষ্ট করার জন্য যা যা করা দরকার সবই করছে।
হলটির সামনে দাঁড়িয়ে অনিক বলেন, তাদের এই অপচেষ্টার একটি হলো- অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র যারা ছাত্রলীগের পরিচয় দিচ্ছে, তারাই বারবার সিরিয়ালে দাঁড়াচ্ছে আবার বের হয়ে যাচ্ছে। অথচ অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারছে না।
তিনি বলেন, প্রশাসন ও শিক্ষকদের কাছে বারবার অভিযোগ করার পরও তারা শুধু দেখার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেনি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে সিরিয়াল ভেঙে ভোট দিতে ঢুকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আমরা বারবার প্রশাসনকে জানাচ্ছি, তারা দেখছি দেখছি বলে কাটিয়ে দিচ্ছেন, কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
লাইনে দাঁড়ানো এক শিক্ষার্থী জানান, দেখেন, আপনারা তো সাংবাদিক, ভেতরে কারা ভোট দেয়! আমরা তো লাইনে, কিন্তু লাইন তো আগাচ্ছে না। লাইনে দাঁড়ানোই বুঝি অপরাধ হলো। দেড় ঘণ্টাতেও ভোট কেন্দ্রের সামনেই যেতে পারিনি।
তবে হলের ভোটগ্রহণে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও হল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ড. সৈয়দ হুমায়ুন আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, সকাল ১০টার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভোট পড়ছে সাড়ে পাঁচশ। মোট ভোট ২০৫২। পার ভোট ১৮ সেকেন্ড সময় লাগছে।
তবে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী অরনী সামন্তি বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা এখানে সাধারণ ভোটারদের ডিস্টার্ব করছে। বিশেষ করে অনাবাসিক সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়া হচ্ছে। কৃত্রিম লাইনের বেশিরভাগ অংশ দখলে রেখে কালক্ষেপণ করছে ছাত্রলীগ।
জেইউ/এমবিআর/এমকেএইচ