জাবিতে জুনিয়রদের র্যাগিং করায় ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগে দুই ছাত্রীসহ ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ।
বহিষ্কৃতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, কিফায়াত সাদমান ইশাদী, রুবাইয়া বিনতে হাশেম, অংকন ভদ্র, মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান সরকার, নাসজাসী সুলতান, মোহাম্মাদ রাকিব হোসেন ও তানভীর আহমেদ শুভ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বহিষ্কৃতরা পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না। একই সঙ্গে তারা কোনো ধরনের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না বলে জানা যায়।
জানা গেছে, গত সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা একই বিভাগের নতুন ভর্তিকৃত ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় সিন্ডিকেট সভা।
র্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ওইদিন দুপুর দেড়টায় নবীন শিক্ষার্থীদেরকে স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে নেয়ার খবর জানতে পারি। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খবরের সত্যতা পাই। সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগ বা কোন ধরনের নির্যাতন করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা শুধুমাত্র তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, পরিচিত হওয়ার নামে ৪৭ ব্যাচ ৪৮ ব্যাচের সঙ্গে যেটা করলো তার শাস্তি তারা পেয়েছে। আমরা এতকিছু করলাম শুধু র্যাগিং বন্ধ করার জন্য অথচ তারপরও তারা এটা করলো। আমাদেরকে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে।
হাফিজুর রহমান/এমএএস/জেআইএম