চবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত দুই
কথা কাটাকাটির জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষই শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে সোহরাওয়ার্দী হলের ক্যান্টিনের পাশের একটি দোকানে নাস্তা করতে যান সিএফসি গ্রুপের কর্মী কনক সরকার। এ সময় বিজয় গ্রুপের কাকন কান্তি দে’র সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। কনক ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এবং কানন ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। কথাকাটির এক পর্যায়ে কাননকে চড় মারে কনক। এ ঘটনার জেরে কনককে মারধর করে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা। খবর পেয়ে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে হাটহাজারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
হাটহাজারী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারীদের দায়ী করে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের জামান নূর জাগো নিউজকে বলেন, ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের কর্মীকে মারধর করেছে এবং মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমরা ভিন্ন উপায় পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবো।
চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় গ্রুপের এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের সিনিয়ররা বসে বিষয়টি সমাধান করবেন।
এনএফ/জেআইএম