গবি ছাত্র সংসদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ওঠেনি ৬ মাসেও
ছয় মাস ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, গত বছরের ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংগঠনের কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ সময় শেষ হওয়ার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তখন বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংগঠনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
পরবর্তীতে তিন মাস ২১ দিন পর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ব্যতীত সব সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপরে প্রায় ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ও ছাত্র সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা. লায়লা পারভিন জানান, অতি দ্রুত একটি জরুরি সভার মাধ্যমে ছাত্র সংসদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ছাত্র সংসদ আমাদের অহংকার। বর্তমানে একমাত্র আমাদেরই রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এবং শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন ছাত্র সংসদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে না, তা প্রতিটি শিক্ষার্থীর চিন্তার বিষয়। যদি নিষেধাজ্ঞাই থাকবে তাহলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার প্রয়োজন কি ছিল?
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষে কাজ করে ছাত্র সংসদ। যেকোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাসের পর মাস ছাত্র সংসদ অকার্যকর করে রাখা মানে শুধু সংগঠন নয়, সব শিক্ষার্থীকে অধিকার বঞ্চিত করে রাখা। মাসের পর মাস ছাত্র সংসদ বন্ধ রাখায় সমস্যার সমাধান হতে পারে না। সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। ছাত্র সংসদের উপর থেকে সব রকমের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ছাত্র সংসদের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নিজেদের প্রয়োজনগুলো কারোর নিকট তুলে ধরতে পারছেন না বলেও জানান অনেক শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র গণবিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ছাত্র সংসদ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ তে শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে ছাত্র সংসদের ভিপি (সহ-সভাপতি) হিসেবে মো. জুয়েল রানা এবং জিএস হিসেবে মো. নজরুল ইসলাম নির্বাচিত হন।
জেডএ/পিআর