সাংবাদিকতা বিভাগ খুলে পাপ করেছি : কুবি রেজিস্ট্রার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নির্মাণাধীন ছাত্রী হলের কাজের দীর্ঘসূত্রিতার তথ্য নিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঔদ্ধত্য আচরণের শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। বুধবার বিকেলে জাগো নিউজের কুবি প্রতিনিধি রিদওয়ানুল ইসলাম এবং বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিনিধি নাজমুল হাসান রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের কাছে গেলে তিনি তাদের তথ্য না দিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে রুম থেকে বের করে দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে হলের কাজের গতি নেই, কালকে ক্লাস রুম নেই এগুলো নিয়ে তোমরা খুব লেখালেখি করছ। দুদিন পরপর তোমাদের এই সংকট, সেই সংকট নিয়ে তথ্য লাগে। সাংবাদিকতা বিভাগ খুলে পাপ করেছি। তোমাদের যা ইচ্ছা লিখে দাও। রুম থেকে যাও। যাও যাও (ধমক দিয়ে)। এক ইনফরমেশনের জন্য চৌদ্দ বার আসে।
ভুক্তভোগী রিদওয়ানুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী।
নাজমুল হাসান জানান, রেজিস্ট্রারের কাছে ছাত্রী হল নির্মাণে দেরির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আমরা প্রশাসন থেকে চাপ দেই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য। কিন্তু তারা জনবল সংকটসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে থাকে। ফলে প্রশাসন চাইলেও কাজ দ্রুত হচ্ছে না।’ এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘এ ব্যাপারে পরিকল্পনা শাখা ভালো বলতে পারবে।’
পরবর্তীতে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. শাহাবুদ্দিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য দিলেও কাজের মেয়াদকাল সম্পর্কে রেজিস্ট্রারের অনুমতি ব্যতীত তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক নাজমুল হাসান বলেন, পরবর্তীতে আমাদের নিয়ে পরিচালক শাহাবুদ্দিন রেজিস্ট্রারের কক্ষে যান। কিন্তু আমাদের বাইরে অপেক্ষায় রেখে পরিচালক শাহাবুদ্দিন এবং রেজিস্ট্রার প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলেন। এরপর আমাদেরকে রুমে নিয়ে কোনো তথ্য না দিয়ে শাসিয়ে রুম থেকে বের করে দেন রেজিস্ট্রার।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শতাব্দী জুবায়ের বলেন, এ বিষয়ে আমরা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে তিনি এমন আচরণ করবেন না এমনটাই প্রত্যাশা করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো আবু তাহেরের কাছে বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যে সকল সাংবাদিকদের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করেছি, তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।
রিদওয়ানুল ইসলাম/আরএআর/এমকেএইচ