ফুলবাড়ীর শহীদদের স্মরণে ঢাবিতে শহীদ বেদি নির্মাণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সামনে জাতীয় সম্পদ রক্ষা আন্দোলনে ফুলবাড়ীর বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে অস্থায়ী শহীদ বেদি নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আয়োজনে নির্মিত এই বেদিতে বুধবার সকালে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় প্রতিবাদী গান, র‌্যালি ও ছাত্র সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে সাথে নিয়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এরপর ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর শাখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা; গণসংহতি আন্দোলন, প্রতিবেশ আন্দোলন, নারী সংহতি, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস), চানচিয়া, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এরপর ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈকত মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী নুর মোহাম্মদ, প্রকৌশলী ম ইনামুল হক গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রতিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক আবুল হাসান রুবেল, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা নগরের সাধারণ সম্পাদক কাকন বিশ্বাস, বাগাছাস ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, চানচিয়ার সমন্বয়ক আন্থনী রেমা, ছাত্র ফেডারেশন ঢাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবা বেনজীর।

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈকত মল্লিক বলেন, ‘সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, রুপপুরে পারমানবিক প্রকল্প, গ্যাস-কয়লার ওপর বিদেশী কর্তৃত্বসহ সারাদেশে জাতীয় সম্পদের ওপর যে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চলছে তার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকার মাধ্যমেই ফুলবাড়ীর শহীদদের ঋণ শোধ করতে হবে।’ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের ছাত্র জনতাকে ফুলবাড়ীর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে সক্রিয় হবার আহ্বান জানান।

প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের প্রকৃত উন্নয়ন করতে হলে জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর তরুণরাই সেই শক্তি।’

সমাবেশ শেষে সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণের বন্ধুরা প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পর একটি র‌্যালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে বলা হয়, বুধবার নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিটি স্থায়ী করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলএ