যাত্রা শুরু করলো বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়
পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে যাত্রা শুরু করলো বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়। এ পার্বত্য জেলায় এটিই প্রথম উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার সকালে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, দেশের শততম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শততলা ভবন হয়তো নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সামনে রেখে শতগুণ একাডেমিক মান রক্ষা করে এটিকে দেশের অন্যতম একটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হবে।
উদ্বোধনের পরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে একটি কনভেনশন সেন্টারে আলোচনা সভা এবং ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. প্রদানেন্দু চাকমা, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম জেহাদুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নুসুরুল্লা, জেলা পরিষদের চেয়াম্যান ক্য শৈ হ্লা, সেনা রিজিয়নের কর্মকর্তা মেজর ইফতেখার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত বছরের ২৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়।
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তবে তার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী রয়েছেন বলে জানা গেছে। আর পরিচালনা পর্ষদের কো চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডক্টর এ এইচ এম জেহাদুল করিম।
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা নোবেল বড়ুয়া জানান, পাবর্ত্য তিন জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি হয়েছে। আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ফ্লোরই পুরো প্রস্তুত। বহুতল ভবনের তিনটি ফ্লোরে ৩৬ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট অস্থায়ী এই ক্যাম্পাসের তৃতীয় তলায় রয়েছে ক্লাসরুম। চতুর্থ তলায় লাইব্রেরি এবং ক্যাফেটোরিয়া। ভিসি অফিস, টিচারস রুম এবং রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক কার্যক্রমের অফিসগুলো আছে দ্বিতীয় তলায়।
সৈকত দাশ/এফএ/এমএস