চবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা, তিন রাউন্ড গুলি
পূর্ববিরোধের জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হল থেকে তিন রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায় বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আখতারুজ্জামান।
বিবাদমান দুটি পক্ষ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ক্যাম্পাসে এই দুই পক্ষে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় ব্যাপক ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করা হয়। তিন ছাত্রলীগকর্মীর আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ ইমন, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আমিনুল ইসলাম ও একই শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের ইয়াছিন আরাফাত। তারা সবাই ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের কর্মী।
জানা গেছে, ঘটনার মূল সূত্রপাত ষোলশহর স্টেশনে। সন্ধ্যায় সিক্সটি নাইন কর্মীরা পূর্ব ঘটনার জেরে সিএফসির এক কর্মীকে ষোলশহরে মারধর করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা শুরু হয়। রাত ৯টা ২০ মিনিটে ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেন পৌঁছালে বাড়তে থাকে এ উত্তেজনা। এ সময় সিক্সটি নাইন কর্মীরা শাহ জালাল ও সিএফসি কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনার মাঝেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়। একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং সিক্সটি নাইনের ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ক্যাম্পাসে চিহ্নিত মাদক মামলার আসামি ও নারী কেলেঙ্কারীর সঙ্গে জড়িতরাই এসব ঘটনার ইন্ধন দিচ্ছেন। তাদের মদদেই আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সিএফসির জামান নূর জাগো নিউজকে বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আলী আজগর চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো ছাড় নেই।
আবদুল্লাহ রাকীব/বিএ