ডাকসু নির্বাচন : বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ
একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের পোলিং বুথের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’।
বুধবার পরিষদের এক সভা শেষে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক রেওজয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়। আগামী ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের পোলিং বুথের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রকারান্তরে, এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সহিষ্ণুতার সংস্কৃতি ও স্বপ্নের ক্যাম্পাসের জন্য সম্মিলিত প্রয়াসকেই অপমান করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পোলিং বুথ হলের অভ্যন্তরে হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতবর্ষী ঐতিহ্য ও প্রথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করে, উপরন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত একাডেমিক-প্রশাসনিক ও সহ-পাঠ্য কার্যক্রম হলকেন্দ্রিক, হল সংসদের কার্যক্রমও হলের আবাসিক বৈশিষ্টকে উপজীব্য করেই। হলের আবাসিকতা-অনাবাসিকতা প্রশাসনিকভাবেই নির্ধারিত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমের অবাধ কার্যক্রমের জন্য এ ক্যাম্পাস আসলে বিরতিহীনভাবেই সবার জন্য প্রদর্শিত হয়। হলের সামষ্টিক কার্যক্রম সিসিটিভির আওতাভুক্ত এবং ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০১৯ সামনে রেখে ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবির আলোকে ইতোমধ্যেই নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে শুভ কাজের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই সাধারণ শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত নেতৃত্ব বেছে নিতে পারবে। প্রতিষ্ঠিত প্রথা, আইনি অনুমোদন, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির নিশ্চয়তার আলোকে বলা যায়, পোলিং বুথ নিয়ে ন্যূনতম বিভ্রান্তির অবকাশ আছে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করে না।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদভুক্ত ছাত্র সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি।
এমএইচ/এনডিএস/এমএস