ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

কী ভাবছে ছাত্র সংগঠনগুলো

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ১১:০৯ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠনতন্ত্র সংশোধন ও আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সভাকক্ষে সিন্ডিকেটের এক সভায় আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সিন্ডিকেটের সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সেগুলো সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামান।

গঠনতন্ত্রে ভোটার ও প্রার্থীদের শর্ত হচ্ছে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও এমফিলে অধ্যয়নরত আছে কেবল তারাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে ভোটার ও প্রার্থীর বয়স কোনোক্রমেই ৩০-এর অধিক হবে না।

সিন্ডিকেটের এমন সিদ্ধান্তে বাদ পড়তে যাচ্ছেন ছাত্র সংগঠনগুলোর সম্ভাব্য হেভিওয়েট অনেক প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে তাই অনেকেই নাখোশ। যদিও বয়সের বিষয় নিয়ে এখনই কিছু বলতে চায়নি ছাত্র সংগঠনগুলো।

এদিকে ক্ষমতাসীনদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যসব ছাত্র সংগঠনের অন্যতম দাবি ভোটকেন্দ্র হলের পরিবর্তে অনুষদে স্থাপনের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদ ও অনুষদে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে রাত ১০টায় টিএসসিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।

জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘আমরা সব বিষয়কে পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের দাবি এখানে প্রতিফলিত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। প্রশাসনকে দাবি জানাব গণভোটের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র কোথায় হবে তার রায় নিশ্চিত করার।’

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর বলেন, ‘বয়সসীমা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমাদের দাবি ছিল ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে করার। কিন্তু সে দাবি মানা হয়নি। আমরা কাল থেকে এ দাবিতে আন্দোলনে যাব।’

ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘প্রশাসন ভোটার ও প্রার্থীর ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিকে আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি। সে মোতাবেক আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর পর যেহেতু ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে সেহেতু শর্ত আরেকটু শিথিল করা যেতে পারতো। তবে এ মুহূর্তে আমরা পুরোটা বিষয় পর্যালোচনা করা ছাড়া বলতে পারছি না। আরেকটা আমাদের যে অন্যতম বিষয় ছিল অনুষদে ভোটকেন্দ্র স্থাপন সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি। তাই হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপন হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের শঙ্কা থেকে যায়।’

এমএইচ/বিএ

আরও পড়ুন