চবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, পুলিশের লাঠিচার্জ
পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। আহত দুইজন হলেন- ইংরেজি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান ও পালি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্লাটন চাকমা। তারা শাখা ছাত্রলীগের সিএক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী বলে পরিচিত।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শাহজালাল, শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছাত্রলীগের বিবাদমান দুটি পক্ষ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে জুয়েল ও ইবনুল নামে সিক্সটি নাইনের দুই কর্মীকে চড়-থাপ্পড় মারে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে মেহেদী ও প্লাটন চাকমা আহত হয়। এ সময় দুই পক্ষে দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
সংঘর্ষের খবর শুনে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা বিভিন্ন হল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে জড়ো হলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে কয়েকজন আঘাত পান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন জাগো নিউজকে বলেন, সংঘর্ষে ইংরেজি বিভাগের মেহেদী হাসান এবং পালি বিভাগের প্লাটন চাকমা আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মনসুর আলম বলেন, আমাদের কর্মীদের ওপর কতিপয় ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব এসব ছাত্রলীগ নামধারী জামায়াত শিবিরের দোসরদের আইনের আওতায় এনে ক্যাম্পাসে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনুন।
অন্যদিকে বিলুপ্ত কমিটির উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক ও সিএফসি গ্রুপের সায়ন দাস গুপ্ত বলেন, গতকালের একটা ঝামেলা আমরা সিনিয়ররা বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করছিলাম। তবে এরপর আমাদের ৭-৮ জন কর্মীকে বিনা উসকানিতে জিম্মি ও মারধর করা হয়। এ নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, বিশৃঙ্খলায় জড়িতদের ছত্রভঙ্গ করতে হালকা লাঠিচার্জ করা হয়েছে। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সতর্ক আছি। ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে জড়িত ব্যক্তি যে গ্রুপেরই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/আরআইপি