ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকারে ১ম-২য়-৩য় স্থান অর্জনকারী আটক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাক্ষাৎকারে এসে জালিয়াতি ধরা পড়ল সাত শিক্ষার্থীর।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাত শিক্ষার্থীকে জালিয়াতির কারণে আটক করা হয়। আটক এসব শিক্ষার্থীকে প্রক্টোরিয়াল বডির মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে প্রক্টোরিয়াল বডি আটক শিক্ষার্থীদের পুলিশে সোপর্দ করেন।
আটক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে দুইটি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকার শীর্ষ স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীরা। আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন শিফটে মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মারুফ হাসান, একই অনুষদের দ্বিতীয় হওয়া গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাকিবুল ইসলাম শান, তৃতীয় হওয়া গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার এস এম নাইম, ষষ্ঠ হওয়া টাঙ্গাইল সদরের শোয়েব হাসান, নবম হওয়া টাঙ্গাইল গোডাউন বাজারের শাহরিয়ার ইসলাম, ৩৮তম হওয়া শেরপুরের মধ্যশ্রেরীর রাহাত মজুমদার এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় হওয়া ঠাকুরগাঁওয়ের গোয়ালপাড়ার শাফিন আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আটক শিক্ষার্থীদের জালিয়াতি প্রমাণ পাওয়ায় তাদের পুলশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটকের কারণ জানতে চাইলে প্রক্টর আরও জানান, সাক্ষাৎকারে কথাবার্তায় অসঙ্গতি, স্বাক্ষরে অমিল এবং সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রবেশপত্রের ছবির অমিল থাকায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সাক্ষাৎকার বোর্ডের সদস্যরা। পরে তারা জালিয়াতির বিষয় স্বীকার করে। তাদের হয়ে অন্য কেউ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ থেকে ৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয়টি অনুষদের অধীন ২১টি বিভাগে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সজীব হোসাইন/এমএএস/এমএস