ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

খুবিতে শিক্ষকদের দ্বিতীয় দফা কর্মবিরতি

প্রকাশিত: ০৭:২১ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৫

প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবমূল্যায়নের প্রতিবাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণার দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার কর্মসূচি পালিত হয়।  

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে ক্যাম্পাসের অদম্য বাংলার অদূরে প্যান্ডেলে শিক্ষকবৃন্দ অবস্থান করেন।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের অবমূল্যায়ন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মান মর্যাদা জড়িত। আরও বলা হয় আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষানুরাগী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের এই সংবেদনশীল বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

কর্মসূচি চলাকালে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান, এফএমআরটি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. আইয়াজ হাসান চিশতী, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদ, ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর মো. রেজাউল ইসলাম, ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোস্তফা সারোয়ার, বিবিএ ডিসিপ্লিনের প্রফেসর মেহেদী হাসান মো. হেফজুর রহমান। কর্মসূচির সঞ্চালক ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক মো. সাদিকুল আমিন।

সমাবেশে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, শিক্ষকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যবর্তী সময়ে ঘোষিত বেতন কাঠামো পুনঃনির্ধারণ করে সকল সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা সিনিয়র সচিবের সমতুল্য করা, যদি অষ্টম বেতন কাঠামোতে প্রস্তাবিত পদটি (সিনিয়র সচিব) রাখা হয় তবে অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা সচিবের সমতুল্য করা, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামো ক্রমানুসারে নির্ধারণ করাসহ শিক্ষকদের যৌক্তিক বেতন স্কেল নিশ্চিতকরণ, রাষ্ট্রীয় ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স-এ আমাদের প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী পদমর্যাদাগত অবস্থান নিশ্চিতকরণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরূপ গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

আলমগীর হান্নান/এমজেড/পিআর